কেন আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ওয়েবসাইট জরুরী?

একটি ওয়েবসাইট শুধুমাত্র আপনার প্রতিষ্ঠানকে আপনার প্রোডাক্ট এবং সেবা প্রচার এবং বিক্রি করতে সহায়তা করে না, এটি আপনার প্রতিযোগীদের থেকে নিজেকে আলাদা করতেও সাহায্য করে, বিশেষ করে এমন সব গ্রাহকদের জন্য, যারা একটি কোম্পানি সম্পর্কে সবকিছু জানতে ইন্টারনেটের উপর খুব বেশি নির্ভর করে। এই বিষয়টি একটি ওয়েবসাইটকে আপনার তথ্য জানাতে, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে এবং কম্পিটিশনের বাজারে দাঁড়ানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সম্পদগুলির মধ্যে একটি করে তোলে।


আর আজকের দুনিয়ায় একটি ওয়েবসাইট থাকা যেকোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।


আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন একটি ওয়েবসাইট জরুরী তা নিয়ে নিচে ৫ টি বিষয় সংক্ষেপে দেয়া হলঃ


১. আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান কে আপনার কাস্টমাররা খুঁজে পেতে

ভেরিসাইন-এর সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৮৮% এর ও বেশি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান যাদের ওয়েবসাইট আছে, তাদেরকে তাদের কাস্টমাররা অনেক সহজে খুঁজে পেতে পারে। আজ ধরুন আপনার খুব ভাল কোয়ালিটির কিছু প্রোডাক্ট আছে। এই প্রোডাক্টগুলো হয়তো ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এ আছে, কিন্তু যারা গুগল সার্চ এ অভ্যস্থ তারা আপনার প্রোডাক্টটি খুব সহজেই পেতে পারে যদি আপনার একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট থাকে এবং তাতে আপনার প্রোডাক্টটি লিস্টেড থাকে।
যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট ও না থাকে, তবে আপনি এই পটেনশিয়াল কাস্টমারদের হারাচ্ছেন।

২. বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে

আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ব্যবসার জন্য সহজেই একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন, কিন্তু আপনি সেখানে ডিজাইন, ফাংশনালিটি / প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ঐ সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দ্বারা সীমাবদ্ধ। একটি ওয়েবসাইট ছোট ব্যবসাকে ফ্লেক্সিবিলিটি, নিয়ন্ত্রণ, ব্র্যান্ডিং এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
বর্তমানে ভোক্তাদের ৮৪ শতাংশ ওয়েবসাইটসহ একটি ব্যবসা কে কেবলমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া পেজ রয়েছে এমন একটি ব্যবসার চেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করে৷ বিশ্বাসযোগ্য হতে এবং নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে, একটি ওয়েবসাইট অপরিহার্য একটি সম্পদ।

৩. বেশি বেশি কাস্টমার পেতে

যেকোন ব্যাবসার সাফল্য সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে ঐ ব্যাবসাতে নতুন কাস্টমার কত আসছে তার উপর। হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছুতে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং পদ্ধতি যেমন প্রিন্ট আডভার্টাইজিং অথবা টিভিসি খুবই ব্যায়সাপেক্ষ হতে পারে। কিন্তু আপনার ভার্চুয়াল একটি একজিস্টেন্স আপনার কাস্তমারদের কাছে পৌঁছতে, তাদের ডাটা সেভ করে রাখতে, তাদের টার্গেট করে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং আডভার্টাইজিং অনেক সহজে এবং কম খরচে করা সম্ভব।
শুধুমাত্র নতুন কাস্টমার অর্জন করতে নয়, আপনি কারেন্ট কাস্টমারদের আরও সেবা দেওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। ইন্টারনেটে ব্যবসায়িক তথ্য 24/7 আপডেট কাস্টমার কমিউনিকেশন উন্নত করে এবং আপনার জন্য অন্যান্য ব্যবসায়িক অগ্রাধিকারগুলিতে ফোকাস করার সময় খালি করে।


৪. আপনার ব্যবসা বাড়াতে

অনেক ছোট ব্যবসার লক্ষ্য থাকে নিজেকে বড় করা এবং নতুন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো। যদিও মুখোমুখি ইন্টারেকশন গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এবং ব্যবসা প্রায়শই মুখের কথা থেকে আসে, একটি ওয়েবসাইট আপনাকে হাজার হাজার অনলাইন কাস্টমারকে “আপনার বিজনেস কার্ড পাস করার” সুযোগ করে দেয়৷ একটি ই-কমার্স স্টোরের মাধ্যমে, আপনি অনলাইনে আইটেম বিক্রি করতে পারেন এবং বিশ্বের প্রায় যেকোনো জায়গায় গ্রাহকদের কাছে পণ্যটি পাঠাতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, ৮১ শতাংশ ছোট ব্যবসা স্বীকার করে যে একটি ওয়েবসাইট তাদের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করেছে। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, আপনি সম্ভাব্য গ্রাহক এবং সুযোগের একটি বৃহত্তর সংখ্যক কাস্টমার-এর কাছে পৌঁছাতে পারেন।

৫. প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা লাভে

সম্প্রতি প্রকাশিত ভেরিসাইন রিপোর্ট দেখায় যে ৯৩ শতাংশ গ্রাহক কেনাকাটার আগে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ভোক্তারা তাদের ক্রয়ের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চায়—তারা কি কিনছে এবং কাদের থেকে কিনছে। একটি ওয়েবসাইট ছাড়া, আপনি ইতিমধ্যেই অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সুবিধা গ্রহণকারী ব্যবসার কাছে গ্রাহকদের হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। আপনি যদি ওয়েবসাইট আছে এমন অন্য ব্যবসার সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতায় থাকেন, তাহলে আপনার প্রতিযোগীর একটি সুস্পষ্ট সুবিধা রয়েছে—বিশেষ করে যদি তারা কার্যকরভাবে তাদের ওয়েবসাইটে বিপণন করে। একটি ওয়েবসাইট প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রটি সমান করতে সাহায্য করতে পারে।
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ই ভালো একটি ওয়েবসাইট নেই। তাই এখনই সর্বত্তম সময় বাকি সবার থেকে এগিয়ে যাওয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *